RBI Registered Company থেকে অনলাইন লোন পেয়ে যাবেন, টাকা ৫ মিনিটে আপনার ব্যাঙ্কে
অনলাইন লোণ নেবার পদ্ধতি শিখে নিন।
RBI Registered Company থেকে অনলাইন লোন পেয়ে যাবেন, টাকা ৫ মিনিটে আপনার ব্যাঙ্কে
অনলাইন লোণ নেবার পদ্ধতি শিখে নিন।
ইভাকে অতো আদর করে কথাটা বললাম। সে আমাকে পাত্তাই দিলো না। চোখমুখ শক্ত করে বেশ কিছু কথা শুনিয়ে দিলো। আমি স্পষ্ট চোখে চাইলাম তার দিকে। ভারি মিষ্টি দেখতে মেয়েটা। ওর উপর রাগ করে থাকতে পারি না। বিবাহ বহির্ভুত বড় সাধের সম্পর্ক তার সাথে। ঘরে থাকা শশীর সাথে চি ট করছি প্রতিনিয়ত। সব তো ওই ইভার জন্যই! এই স্যাক্রিফাইসের মূল্য যদি সে বুঝতো!
এগিয়ে এসে ইভার চুলে হাত বুলিয়ে দিলাম। ও আমার বুকে ধাক্কা দিলো। খুব নাকি ঢং করছি! একটা সিগারেট ধরিয়ে ইভা খোলা জানালার এক কোণায় কনুই রেখে কায়দা করে টানতে থাকে। টেবিলে রাখা ভদকার আধ খাওয়া বোতল। বিছানা এলোমেলো। আমাদের ওসব হয়ে টয়ে গেছে। এর মাঝে শশী বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছে। আমার রাগ হচ্ছে শশীর উপর। তিন বছর হলো বিয়ে হয়েছে। এখনো অতো আদর্শ গিন্নী সেজে ঘন ঘন খোঁজ নেবার কী দরকার তোর? সারাক্ষণ একটা ছোকছোক করা সন্দেহ মনে পুষে রাখে। দুদন্ড স্বস্তি দেবে না!
ইভার সাথে মনোমালিন্য আমার সতী সাবিত্রী গিন্নীকে কেন্দ্র করেই। ইদানীং ইভা নাকি গিল্টি ফিল করে। একটা লক্ষ্মী মেয়েকে নাকি তার কারণে নাকি আমি প্রতিনিয়ত ঠকিয়ে যাচ্ছি! আমার প্রতিটা চুমুতে নাকি প র কী য়া র স র্ব না শা ঘ্রাণ পায় সে। আমি তাকে বোঝাতে পারি না, ওসব সস্তা মূল্যবোধের ধার না ধেরে সময়টাকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলে কোনো ক্ষতি বৃদ্ধি হবে না। গুগল ঘেঁটে তাকে রেফারেন্স দেখাই। সেখানে কিছু আর্টিকেলে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যাসহ লেখা আছে, মানুষ জন্মগতভাবেই ব হু গা মী!
দু’ভরি পিওর গোল্ডের গহনা কিনে দেবার পর ইভার মনটা নরম হয়। হাসকি ভয়েজে বলে, ওই মা গী যদি নিজের বরকে সামলে সুমলে রাখতে না পারে, তবে তো কোনো নি ম্ফো ম্যা নি য়া কে র ভোগে যাবেই! আমি ওর অসংলগ্ন আদুরে কথা শুনে খিকখিক করে হাসি। জীবনটাকে আমার বড় মধুর মনে হয়। দামী মদকে মনে হয় মায়ের শাড়ির আঁচলে শৈশবের বাটি ছাঁট করা চুল মুছিয়ে দেয়া মমতার মতো। আমার ঘোর কাটায় শশীর একের পর এক অভিমানমাখা মুঠোফোন বার্তা।
রাত করে বাড়ি ফিরি। পিঠ খোলা ব্লাউজ পরেছে আদর্শ গিন্নী। আরে যতোই খোলামেলা হও, ওসব থলথলে চর্বিযুক্ত হাতির পিঠে ক্লান্ত আমি চড়বো ভেবেছো! কথা কাটাকাটির মাঝখানে দুমদুম কয়েকটা কিল বসিয়ে দেই। ও পিঠখোলা জায়গাটা দেয়ালে ঠেসে ধরে বিস্ফোরিত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। গায়ে এর আগে হাত তুলিনি। আজ আমাদের তৃতীয় বিবাহ বার্ষিকী। টেবিলে সাজিয়ে রাখা কয়েক পদের খাবার বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে আছে। সাধ করে রেধেছিলো সে।
ইভার কাছে থাকার সময় শশী যতোবার মুঠোবার্তা পাঠিয়েছে, একবারও অ্যানিভার্সারির কথা জানায়নি আমাকে। আমি তো বুঝি। ওসব ওর স র্ব না শা জে দ আর ই গো! যেন আমার আর খেয়েদেয়ে কাজ নাই। পৃথিবীর যাবতীয় খুঁটিনাটি তুচ্ছ বিষয়াদি মনে করে বসে থাকবো। আমার সামনে কাঁদবে না বলেই হয়তো শশী ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ায়। কান্নার দমকে কেঁপে কেঁপে ওঠে সে। আমার খুব ইচ্ছা করে, লাঠিগোছের শক্ত কিছু একটা দিয়ে কয়েকটা ঘা বসাই জায়গামতো। আমার সাথে ন্যা কা মি! আমার চরিত্র নিয়ে বাসায় ঢুকবার সাথে সাথেই বেশ কিছু কথা শুনিয়েছে সে। এখনো মাথায় আগুনের দাপাদাপি থামেনি।
আমি অবচেতনভাবে নেটে খুঁজি খুন করে লাশ গুম করে ফেলার কার্যকরী উপায়গুলো। কোনোটাই মনে ধরে না। পোহাতে ইচ্ছা করে না এতো ঝক্কিঝামেলা। মা ল টা কে ডি ভো র্স দিয়ে দিলে কেমন হয়? আমি ইভাকে উইল ইউ ম্যারি মি কথাটা লিখে কয়েকটা চুমুর ইমো অ্যাড করছি, এমন সময় সাইড টেবিলে রাখা ফাইলটা চোখে পড়ে। নিতান্ত হেলায় ভরে সেটাকে হাতে নিই। ঠিক মেরুদন্ড দিয়ে একটা শীতল স্রোত বয়ে যায়। একটা কাগজে অনেক কিছুর ফাঁকে স্পষ্ট করে লেখা, শশী সন্তানসম্ভবা।
আমি মেসেঞ্জারে টেক্সটটা তবু ইভাকে পাঠিয়েই দেই। দেখি না সে কি বলে!
গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে যাই ব্যালকনির দিকে। শশীর বাঁধভাঙা শোকের প্রকোপ কমেছে। ফর্সা পিঠের দু তিন জায়গা লাল হয়ে আছে। ছোটবেলায় শেখা মার্শাল আর্ট এই প্রথম বোধহয় কাজে লাগলো। তবু আমি মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিলাম। যাহ্… ব্যাপারটা বোধহয় বাড়াবাড়ি হয়ে গেলো!
ও কেঁদেকেটে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে। আমি স্যরি বলবো কিনা ভাবছি। এমন সময় ইভা টেক্সটের রিপ্লাই করে। কোনোভাবে ইভা আর শশীর যোগাযোগ হয়েছে। সেই সুযোগে খুব সম্ভবত শশী মা হবার ট্রাম্পকার্ড ছেড়েছে বরকে একান্ত নিজের করে নেবার জন্য। আর ইভা গিল্টি ফিলিং এর দোহাই দিয়ে সম্পর্ক গুটিয়ে নেবার ফাঁকে শেষ লাইনে আমাকে উত্তর দিয়েছে, আমি একজন মোটা দাগের অমানুষ!
খুব প্রতারিত মনে হয় নিজেকে। অসহায় লাগতে থাকে। নিজে থেকেই শশীর পিঠে কয়েকটা চুমু খাই। হাত ধরে ওকে বেডরুমে নিয়ে আসি। ওর কোমর দু’হাতে জড়িয়ে পেটে কান রেখে কিছু একটা শোনার ভান করে কালক্ষেপন করি। কাঁপা গলায় বলি, আমাকে ক্ষমা করে দিতে। শশী দেখলাম হাসছে। মেয়েটা মা হবার আনন্দে খানিকটা এলোমেলো হয়ে গেলো নাকি! আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তার অদ্ভুত হাসিটা থামবার অপেক্ষায় তাকিয়ে থাকি। ওর দৃষ্টি অনুসরণ করে সেই সাইড টেবিলে চোখ পড়ে আবারো। সেখানে যত্নসহকারে আরেকটা ফাইল রাখা আছে।
আমি বুঝতে পারি ওটা কীসের আবেদনপত্র। অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে আমার। এই মেয়েটার সাথে আমার জীবনের অদ্ভুত সুন্দর কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। হাউমাউ করে কেঁদে উঠি আমি। শশীর দু পা জড়িয়ে ধরে কাঁদি শিশুর মতো। নিজেই চমকে উঠি, অতোটা বিশুদ্ধ আবেগ ওর জন্য আমার ভেতর এতোদিন লুকিয়ে ছিলো!
লেখক ঃ Taimoor Mahmud Shomik-
এটা একটা বিজ্ঞাপন পোস্ট
যদি আপনি আপনার নিজের জন্য একটা কলকাতা ফটাফট গেম অ্যাপ বানাতে চান তাহলে যোগাযোগ করুন নিচে দেওা নাম্বারে।
যোগাযোগ ঃ 9800600744 / ৯৮০০৬০০৭৪৪
আমরা আপনাকে আপনার নিজের একটা কলকাতা ফটাফট গেম অ্যাপ বানিয়ে দেব, যেখানে আপনি যত খুসি তত ইউজার দের খেলাতে পারবেন।
আপনি আপনার নিজের ইচ্ছামত আলাদা আলাদা গেম অ্যাড করতে পারবেন, ইউজার দের সমস্ত ডিটেইলস দেখতে ও ম্যানেজ করতে পারবেন।।
এছাড়া সমস্ত রকম ফিচার্স আপনার অ্যাডমিন প্যানেলে দেওয়া থাকবে। বিস্তারিত জানার জন্য কল বা Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন।
নিউটাউনে ইকোপার্কে দর্শকদের জন্য খুলে গেল ভারতের প্রথম সৌর গম্বুজ
প্রতীক্ষার হলো অবসান। নিউটাউনে ইকোপার্কে তৈরি হলো ভারতের প্রথম সৌর গম্বুজ (solar dome)।এই গম্বুজের বাইরের পুরোটাই সুদৃশ্য সোলার প্যানেল দিয়ে মোড়া। দূর থেকে দেখে এটিকে কাঁচঘর বা গ্লাসহাউজ বলে ভুল হতে পারে।গম্বুজটির উচ্চতা ২৭ মিটার, ব্যাস ৪৫ মিটার।
সৌর গম্বুজের বাইরে লাগানো সোলার প্যানেল থেকে ১৮০ কিলো ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।এখানে ২০০০ টি সক্রিয় সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। ডোমের ভিতর আলো, পাখা, কম্পিউটার, টিভি, লিফট সবকিছু চলবে সৌরবিদ্যুতের সাহায্যেই।
ডোমের ভিতরে থাকছে বিশাল উঁচু গোলাকার গ্যালারি। ইকো পার্কে ঘুরতে আসা সকল পর্যটক বিনামূল্যে গ্যালারি দেখতে পারবেন বলে জানা গেছে। এর ভিতর থেকে ইকোপার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
এই সৌর গম্বুজটি তৈরি করেছে হিডকো এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা। সুইৎজারল্যান্ডের একটি নামী সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী তৈরি হয়েছে এই সৌর গম্বুজ। এটি তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।
দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম এমন সৌর গম্বুজ গড়ে তুলল। কলকাতা, রাজ্য তথা সারা দেশের মানুষের কাছে এই সৌর গম্বুজ এক দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠবে তা আশা করা যায়।
Valobasa dot com Bhalobasa dot com Valobasha dot com Bhalobasha dot Com Valobasa.com
সামপ্লেস এলসে তো জমিয়ে দিলেন দেখছি।
আবার বললেন, বাদাম বিক্রি করব না। শুধু গান গাইব । সিদ্ধান্তকে স্বাগত এবং অফুরান ভালোবাসা।
জানেন তো ভুবনবাবু, আপনি ভুবন জোড়া ভাইরাল হওয়ার ঠিক ২ বছর আগে একজন মহিলা রানাঘাট স্টেশনে বসে ভিক্ষা করতেন। গান গাইতেন আপন মনে।
জনৈক সেই গান শুনে ভিডিও করলেন। ভাইরাল হল।
সময়ের নিয়মে প্রতিভার উড়োজাহাজে মুম্বই পৌঁছে গেলেন তিনি। হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে জবরদস্ত গান রেকর্ডিং করলেন।
পাড়ার মোড়, নদীর চরে বাজল সেই গান। আ-আআআআআ।
এখন উনি কি করে জানেন?
বাড়িতে যায় তৃতীয় সারির কিছু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের লোকজন। গিয়ে বাংলা খিল্লি করেন।
কখনও বলেন কাঁচাবাদাম গাইতে। কখনও বলেন শ্রীভাল্লি গানে নাচুন।
আর উনিও দম দেওয়া পুতুলের মত নেচে চলেন।
আর যখন সম্বিত ফেরে, তখন উনি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে দাঁত নখ খিঁচিয়ে নেমে পড়েন আক্রমণে।
বেসিক্যালি, এখন উনি নিপাট আনন্দের বস্তু হয়ে উঠেছেন।
অথচ এমন তো ছিল না!
ভুবনবাবু, ভয় কোথায় জানেন?
আপনি এখন ভাইরাল। সিরিয়ালের লোকজন কোমর দোলায় আপনার গানে। আপনাকে ধুতি পাঞ্জাবি খুলিয়ে ঝিকিমিকি ব্লেজার পরিয়ে পারফর্ম করানো হয়।
হয়ত আপনার মত নিয়েই। কিন্তু সত্যি বলুন তো, ঝিকিমিকি ব্লেজার পরে সামপ্লেসের মঞ্চে অতবার গলা থমকালো কেন আপনার? হয়ত, পোশাকটা আপনার কমফোর্ট জোন নয়।
মঞ্চ আপনার কমফোর্ট জোন হতেই পারে।
হয়ত আপনি অভ্যস্ত নন। আপনার কাঁচা বাদাম গানের সামনে মানুষজন সল্টেড বাদামেরই চাট নিয়ে হুইস্কিতে চুমুক দেবেন। ভুবনবাবু আপনার ভুবনের সঙ্গে এই ভুবনের ঢের পার্থক্য।
এই ভুবন মানিকে মাগে হিতেকে ভুলে যেতে ৩ মাস সময় নিয়েছে। আপনি কতদিন মনে থাকবেন, তা আপনি ঠিক করবেন না।
করবে অন্য ভুবন।
এটাকে বলে ভাইরাল ভুবন।
যেই ভুবনটা এখনও আপনি চেনেননি। রানু মন্ডলও চিনতে পারেননি।
Valobasa.com Valobasa .com Valobasha.com Bhalobasa.com Bhalobasha.com www.valobasa.com www.bhalobasha.com
ওই দূরে ট্রেন যায়।
পাশেই একটা ছোট রাস্তা নেমে গেছে।
সেই রাস্তা দিয়ে মিনিট দুই গেলেই "আঙ্গুরবালার কোঠা", শহরের একমাত্র যৌণ পল্লী।
পল্লী বলা ভুল, এই একটাই বাড়ি।
তবে অবৈধ নয়, পারমিশন আছে আঙ্গুরবালার কাছে।
আঙ্গুরবালা ওই কোঠার মালকিন, নাম শুনেই বোঝা যায়।
ঊর্ধ্ব পঁয়ত্রিশ এর মহিলা।
এককালের সুন্দরীর রূপে ঢল নামলেও সাহসে কেউ টেক্কা দিতে পারবেনা। একা হাতে সব সামলায়। কম ব্যপার না।
স্টেশন থেকে কাছে হওয়ায় খদ্দের কম হয়না, পাশেই মদের ঠেক আছে এটাও একটা উপরি পাওনা।
তবে যত না উপরি লাভ তার থেকে বেশি সমস্যা এই ঠেকটাকে নিয়ে। টোন টিটকিরি তো যাইহোক ওদের গায়ে মাখলে চলে না, কিন্তু মাতাল হয়ে গালিগালাজ আর কোঠায় ঢুকে মেয়েদের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তি টা পছন্দ হয়না একদম।
কদিন থেকে সেটা বেড়েছে।
হ্যাঁ এই পুজোর মরশুম এ অত্যাচার টা বাড়ে।
পুলিশে বলে দেখেছে, লাভ হয়না তেমন। দুটো হামবড়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওসি আবার একরাত ফ্রি তে চায়। মাদারচোত শালা।
এটুকু ভেবে নিজেকে ফের শান্ত করলো আঙ্গুর। খুব ধৈর্য্য ধরে না থাকলে ব্যবসা চালাতেও তো পারবেনা।
আজ কালীপুজোর রাত।
একটু রাত না বাড়লে আজ খদ্দের হবেনা।
তবে প্রস্তুতি টা নিতে তো হবেই। তাই সাজগোজ চলছে।
আঙ্গুর সহ বাকি সবাই নিজের নিজের রুমে আয়নার সামনে ব্যস্ত। চোখের কাজল আর গালের লালি দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে মনের অনিচ্ছা গুলো। যেনো চরিত্রের উপর টাকার একটা মোটা প্রলেপ।
"বড়মা..বড়মাআআআ.." হাঁফাতে হাঁফাতে ঢুকলো পলু।
পলু এই বাড়ির একমাত্র ছেলে। বছর সাতেক বয়স।
ওর মা এখানেই কাজ করতো, ডেলিভারির সময় মরে গেলো আর সেই থেকেই আঙ্গুর ওকে মানুষ করছে।
"কি হলো পলু? এই তিনি সন্ধ্যেবেলা কোথায় গেছিলি?"
হাঁফানি থামিয়ে ঢোক গিলে পলু বললো, " তিন্নি দিদির সাথে"
চমকে উঠলো আঙ্গুর।
মেয়েটা এই দু হপ্তা হলো এসেছে কোঠায়।
ওর বাবা ওকে বিক্রি করে দিয়েছিলো।
শেষমেশ এখানে ঠাঁই হয়েছে।
আজ ওর মাসিক শুরু হয়েছে সকালে।
কিন্তু কাউকে বলেনি ভয়ে। ব্যবসার রমরমা সময়ে ওসব হলে তো খুব লস। কাওকে তাই বলতে পারেনি ভয়ে।
শেষে যখন জানা গেলো তখন বাকি মেয়েদের সে কি খিস্তাখিস্তি!
সে তো ভালো যে আঙ্গুর ঠিক সময়ে গিয়ে এক থাপ্পড় মেরেছিল টুনি কে, "আমার কোঠার মেয়ে আমি বুঝবো, তুই নিজের খদ্দের সামলা। কদিন থেকেই তোর রিপোর্ট ভালো আসছেনা। কিছু বলিনি এদ্দিন কিন্তু এসব করলে তোর কপালে দুঃখু আছে বলে দিলাম।" এই বলে তিন্নি কে জড়িয়ে নিয়ে আঙ্গুর ওর হাতে দুটো নোট ধরিয়ে দিয়ে বলেছিলো, "সন্ধ্যেবেলা যাস ওই রোডের ধারে ওষুধের দোকানে কিনে আনিস।"
কোঠায় কেউ ওসব ব্যবহার করেনা। কাপড় দিয়েই চলে, কিন্তু তিন্নির মায়া ভরা মুখটা এমনই যে...
"তিন্নি দিদি কই?" পলু কে জিজ্ঞেস করলো আঙ্গুর। মুখে ওর চিন্তার ঘাম।
"ওরা ধরে নিয়ে গেলো বড়মা।"
"কি বলছিস? কারা? কোথায় নিয়ে গেলো? বল।"
" হারু... ওই বেলতলার মাঠে..."
"হারু?!" বুক টা ধড়াস করে উঠলো আঙ্গুরের। হারু হলো পাড়ার পলিটিক্যাল গুন্ডা। এই সামনের ঠেকেই মদ খায় রোজ আর খিস্তি আউড়ায়। খুন, রাহাজানি কি নেই ওর নামে! ওর পাল্লায় পড়লে তো...
দুশ্চিন্তায় কেঁপে উঠলো আঙ্গুর। দুদ্দাড় করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে হাঁক পাড়লো, "টুনি.... আমি বেরোলাম। তুই দরজা বন্ধ করে রাখ আমি না এলে খুলবিনা।
"কিন্তু বড়মা খদ্দের..."
"যা বললাম কর আর পুলিশে ফোন করে বল বেলতলায় মাঠে যেতে। খুব বিপদ।"
দরজা টা দড়াম করে লাগিয়ে ছুট দিলো আঙ্গুর।
পিছন পিছন ছুটছে পলু।
বেলতলায় যখন পৌঁছালো তখন সেখানে লোক জড়ো হয়ে গেছে। ভিড় ঠেলে ঢুকতেই দেখলো মাঠের পাশে পড়ে আছে ফুটফুটে মেয়েটার শরীর, রক্তে ভেসে যাচ্ছে শাড়ি, আর চোখ বেয়ে গড়িয়ে আসছে নিথর জলের ধারা।
আঙ্গুর হুড়মুড়িয়ে গিয়ে বসে পড়লো তিন্নির কাছে।
"তিন্নি, এই তিন্নি, ওঠ মা কি হয়েছে বল।" চারপাশে তাকিয়ে চিৎকার করলো, "এই তোমরা হাত লাগাও। নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে, ওই.. কি হলো রে শুয়োরের বাচ্চা শুনতে পাচ্ছিস না! তোদের পায়ে পড়ি একটু হেল্প কর।"
নাহ্ কেউ এলো না।
বেলতলার পাশেই একটু দূরে একটা কালীপুজো হয়, অনেক বছরের পুরোনো আর বেশ বড়ো।
লোকগুলো হয়তো পুজো দেখতেই এসেছিলো। কিন্তু মায়ের হাতে অসুরের নিধন দেখার থেকে হয়তো অসুরের হাতে মায়ের সম্মান হরণ দেখে বেশি মজা পেয়েছে।
রাগে কষ্টে গা রিরি করে উঠলো আঙ্গুরের কিন্তু কাঁদলো না।
পলু কে বললো, "তুই এখানে থাক আমি মন্দিরের কাছে যাই।
ওখানে পুরুত কাকা আছে, যদি কিছু হেল্প করে।"
আঙ্গুর ছুট লাগালো মন্দিরের দিকে। পুরোহিত আশীষ বাবু প্রৌঢ় ভদ্রলোক, খুব ভালো মনের ও উপকারী। সবার সাথে সমান ভাবে ভালো ব্যবহার করা তাঁর গুণ। এখন সেই শেষ আশা আঙ্গুরের।
মন্দিরের কাছে আসতেই আঙ্গুরের সেই আশার আলো টাও যেনো দপ করে নিভে গেলো।
হারু আর তার মাতাল দল চত্বরে গোল করে বসে যেনো তামাশা জুড়েছে।
সেখান থেকে ভেসে আসছে আজকের শিকার কাহিনীর পৈশাচিক উল্লাস। "শালা কচি মাগী ছিলো। অমন টাইট মাল আগে ঠাপাইনি শালা। ওহ্" ..ভেসে এলো ওদিক থেকে।
আঙ্গুর কানে হাত দিলো, মনে পড়ে যাচ্ছিলো ওর বিশ বছর আগের কথা, যখন এভাবেই রেপ করে ওকে বেচে দেওয়া হয়েছিলো কলকাতার এক বাজারে।
সেই শব্দগুলো যেনো ফের প্রতিধ্বনি হয়ে চলেছে, আরো একবার। কিন্তু কানে হাত দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।
" মাগীর নখরা দেখছিলি? এমন ভাব শালী যেনো সতি সাবিত্রী। রোজ রাতে তো দিস একদিন নাহয় হারুকে দিলি!"
"কি গুরু, মাসিকের মাগী কিন্তু আজ বউনি হলো, কি বলো?" আবার সেই অট্টহাসি..!
পেশী শক্ত হয়ে উঠলো আঙ্গুরের।
কি জানি কি ভর করলো ওর উপর। শান্ত ভাবে এগিয়ে গেলো মন্দিরের দিকে।
মা কে প্রণাম ঠুকে হাতে তুলে নিলো বলিদানের খাঁড়া টা।
তারপর ধীরে ধীরে কখন যে ওই গোল করে বসে থাকা জানোয়ারদের পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে, মদের ঘোরে কেউ টের ও পায়নি। আশেপাশে যে কটা লোক ছিল তারাও যেনো স্তম্ভিত হয়ে গেছে। হারুর পিঠে পা দিয়ে একটা টোকা দিলো আঙ্গুর।
হারু "কে রে শালা" বলে ঘুরে তাকাতেই একটা মসৃণ শান্ত হাসি দিলো আঙ্গুর আর তারপরেই.....
রক্তের উপর বসে খেলছিলো আঙ্গুর যখন পলু ছুটে এলো।
শিশু যেমন কাদার উপর খেলে, ঠিক সেভাবে। "তিন্নি দিদির জ্ঞান ফিরেছে বড়মা।"
কথা কানে গেলোনা আঙ্গুরের।
আজ মায়ের যে তৃষ্ণা মিটেছে। পশুর রক্তের তৃষ্ণা।
হাজার বছরের বলিদানে যা মেটেনি, যা মেটা উচিত ছিলো না, আজ মানব পশুর রক্তে তা শান্ত হয়ে গেছে।।
বাচ্চাদের পেটে ভাত নেই, ১৫০ টাকায় মাথার চুল বিক্রি করে দিল মা
- গল্প নয় , সত্য ঘটনা
আমি আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে আন্দামান গিয়েছিলাম।
আমার দিদি তখন লিটিল আন্দামানের হাট বে তে থাকত।
দিদি কলকাতা ঘুরতে এসেছিল।
দিদি কে পৌছে দিতে সস্ত্রীক গিয়েছিলাম।
যাওয়ার সময় জাহাজে গিয়েছিলাম এল টি সি তে প্রথম শ্রেনীর কেবিন পেয়েছিলাম এম ভি নিকোবর জাহাজে।
জাহাজটা তখন নতুন। আগে হর্ষবর্ধনের খুব নাম ডাক ছিল। জাহাজে চারদিন কেমন করে কাটবে সেই নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। শুনেছি সমুদ্রপীড়া তে অনেকের গা গোলায়, বমি করে।
বেশ কয়েকটা বই নিয়ে গিয়েছিলাম পড়ে সময় কাটাব বলে। জানুয়ারী মাস ছিল।
সমুদ্র তাউ শান্ত ছিল। যথা সময়ে দড়ির সিঁড়ি বেয়ে রোমাঞ্চিত হয়ে জাহাজে চড়লাম।
ডকে পৌছে ও বেশ শীত করছিল।
বিকেল বেলায় জাহাজে পৌছে ভিতর টাকে আমার একটা বেশ বড় হোটেল মনে হল। ঠান্ডা ও লাগছিল না।
নিজেদের কেবিনে এসে দেখলাম চারজনের কেবিন। আমাদের তিনজনের সাথে বাইরের এক ভদ্র লোক ছিলেন।
বয়স পঞ্চাশের মতন। ওখানে সার্ভিস করেন। খুব মিশুকে।
একসাথে থাকতে অসুবিধা হয় নি। ইন্টারনেটের প্রথম যুগের কথা। মোবাইলের আদিম দিনের কথা।
তাই কারো হাতে মোবাইল দেখি নি। থাকলেও লাভ হত না। তখনকার প্রযুক্তি অনুসারে কেবিনের ভিতর খুবই সাজানো।
চারটে সিঙ্গল বেড দুটো তলে। দুটো চেয়ার,,টেবিল এবং বসার টুল। আলমারি জামা কাপড় ও কাগজ পত্র রাখার জন্য।
মিউজিক সিস্টেম এবং পাবলিক আ্যড্রেস ব্যবস্থা বেশ ভালো ছিল।
জাহাজে খাওয়ার ডাইনিং রুম খুব সুন্দর।
সকালে আর দুপুরে খাওয়া ওখানেই ছিল।
রাতের ডিনার ঘরে। ডিনার খুব খারাপ হলেও ব্রেকফাস্ট খুব ভালো এবং পর্যাপ্ত ছিল।
খুব সুন্দর জাহাজের ভিতর টেবিল টেনিস ক্যারাম সহ ইন্ডোর গেমসের ব্যবস্থা ছিল।
সাগরে জাহাজ পৌছাতেই প্রায় একদিন।
জোয়ারের উপর নির্ভর করে। সাগর থেকে পোর্টব্লেয়ার অবধি প্রায় দুই থেকে আড়াই দিন লাগল।
ডেক থেকে সমুদ্র দেখে, সবার সঙ্গে গল্প করে সময় যে কি দারুণ কেটে গেল তা অবর্ণনীয়। ডেক থেকে আন্দামানের কালাপানি দেখলাম। সত্যি সাগরের রঙ যেন কালো।
আন্দামান থেকে নিকোবরের পথে সমুদ্রের জল কালো লাগে নি। মাঝে মাঝে ডলফিন দেখা যায় যদিও আমি দেখি নি।
সমুদ্রের থেকে সূর্যাস্ত খুব মনোরম। দারুণ উপভোগ্য ছিল সেই সফর। কোনো বমি হয় নি।
দূর থেকে পোর্টব্লেয়ারে যখন জাহাজের বন্দরে ঢোকার সৌন্দর্য অবর্ণনীয়।
ফেরার পথে ক্লান্তি র সময় প্লেনে ফেরাই ভালো। আমরাও প্লেনে ফিরে ছিলাম।
তখন যদি স্মার্ট ফোন থাকত!
Anup Kumar Sengupta
বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব সাত কিলোমিটার।।
একদম নির্জন রাস্তার উপর দিয়ে যেতে হয়,, তার স্কুলে।।
বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার রাস্তায়,, কোনোরকম যানবাহন ছিলো না।। সনৎ বাবু সজ্জন মানুষ,, প্রায় প্রতিদিন ওনাকে কেউ না কেউ,, বাইক অথবা সাইকেলে লিফট দিয়ে দিতেন।। ভাগ্য খারাপ হলে,, সেদিন দুই-পায়ের উপর ভরসা ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না।।
"এত নির্জন জায়গায় কেনো যে সরকার স্কুল খোলে ??" রোজ সকালে স্কুলে বের হওয়ার আগে,, সনৎ বাবু এটাই মনে করেন।।
একটু একটু করে পরিশ্রমের টাকা জমিয়ে ,, সনৎ বাবু একটা স্কুটার কেনেন।।
হিরো হোন্ডা কম্পানির পেপ্ট স্কুর্টি।।
স্কুর্টি কেনার পরেই তিনি শপথ নিলেন,, প্রতিদিন কাউকে না কাউকে লিফট দেবেন।। কাউকে মানা করবেন না।। কারণ,, তিনি জানতেন,, যখন কেউ লিফট দিতে মানা করে,, তখন ভীষণ লজ্জায় পড়ে যেতে হয়।।
সনৎ বাবু যখনই স্কুলে যেতেন,, কাউকে না কাউকে পিছনে বসিয়ে নিতেন।। ফেরার সময় ও যে কোনো মানুষকে লিফট দিতেন।।
একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে,, একজন অচেনা ব্যাক্তি হাত দেখান।। সনৎ বাবু স্কুর্টি থামিয়ে,, তাকে পিছনে বসিয়ে নেন।।
কিছুদুর যাওয়ার পর,, অজ্ঞাত পরিচয় মানুষটি সনৎ বাবুর পিঠে ছুরি ঠেকিয়ে বলে -- "কাছে যতো টাকা আছে,, আর এই স্কুটার আমাকে দিয়ে দাও।। নাহলে তোমাকে মেরে ফেলবো।।"
সনৎ বাবু ভীষণ ভয় পেয়ে গেলেন।। টাকা পয়সা তেমন কিছু ছিলো না।। কিন্তু,, কষ্টার্জিত উপার্জন জমা করে,, অনেক আশা নিয়ে এই স্কুর্টি কিনেছেন।।
যাইহোক,, নিরুপায় সনৎ বাবু,, অজ্ঞাত পরিচয় মানুষটিকে স্কুর্টি দিয়ে বললেন - "স্কুর্টি নিয়ে যান,, কিন্তু,, আমার একটা অনুরো রইলো।।"
চোর বলে - "বলুন।।"
সনৎ বাবু বললেন - "তুমি কোনদিন কাউকে বলবেনা,, এই স্কুর্টি কোথা থেকে,, এবং,, কিভাবে তুমি পেয়েছো।। আমিও থানায় রিপোর্ট করবো না।।"
চোর আশ্চর্য হয়ে বললো - "কিন্তু কেনো ?? "
সনৎ বাবু বললেন - "দেখো,, এই রাস্তা নির্জন।। এমনিতেই সবাই ভয়ে ভয়ে চলাফেরা করে।। তারপর,, সবাই যদি জানতে পারে,, এই রাস্তায় স্কুর্টি ছিনতাই হয়েছে,, তাহলে কেউ আর কাউকে লিফট দেবে না।। "
চোরের মায়া হলো।। ভাবলো সনৎ বাবু সৎ এবং সজ্জন মানুষ।। কিন্তু,, পেট তো আর শুনবে না।। স্কুর্টি ষ্ট্রাট করে চোর চম্পট দিলো।।
পরেরদিন সকালে,, সনৎ বাবু দরজা খুলে দেখেন,, দরজার সামনে তার স্কুর্টি রয়েছে।।
সনৎ বাবু খুশী হয়ে গেলেন।। কিছুটা আশ্চর্য হয়ে স্কুর্টির কাছে গিয়ে দেখেন--- .
স্কুর্টির হ্যান্ডেলে একটা কাগজ রয়েছে।।
কাগজে লেখা------
"মাষ্টারমশাই,, এটা ভাববেন না যে,, আপনার জ্ঞানগর্ভ কথা শুনে,, আমার মন বিগলিত হয়ে পড়েছে।।"
" আপনার স্কুর্টি নিয়ে প্রথমে চোরাই মাল খরিদকারীর কাছে গেলাম।। উনি দেখেই বললেন - "আরে,, এটা তো মাষ্টার মশাইয়ের স্কুর্টি??"
" বললাম,, হ্যাঁ,, ঠিক বলেছেন,, মাষ্টার মশাই আমাকে বিশেষ কাজে বাজারে পাঠিয়েছেন,, বলে ,, ততক্ষণাৎ সেখান থেকে চম্পট দিলাম।।"
" সারাদিন কিছু খাওয়া হয়নি,, মিষ্টির দোকানে কিছু খেতে গেলাম।। দোকানদার বললো -- "আরে মাষ্টার মশাইয়ের স্কুর্টি নিয়ে কোথায় ঘুরছো??"
-- "বললাম,, হ্যাঁ,, মাষ্টার মশাইয়ের বাড়িতে অতিথি এসেছে,, তাই মিষ্টি কিনতে এলাম।।"
-- "রাস্তায় যার সঙ্গে দেখা,, সেই বলছে,, মাষ্টার মশাইয়ের স্কুর্টি......"
"ভাবলাম এলাকার বাইরে কোথাও গিয়ে বিক্রি করতে হবে।। এলাকার বর্ডারে পুলিশ চেকিং চলছিলো।।
পুলিশ বললো - "আরে,, মাষ্টার মশাইয়ের স্কুর্টি নিয়ে কোথায় চলেছো ??"
- "পুলিশ আমার দিকে তেড়ে আসছে দেখে,, কোনো রকমে স্কুর্টি নিয়ে চলে এলাম।। পুলিশের হাতে ধরা পড়লে,, আমার বারোটা বাজিয়ে দিতো।।"
-" মহাশয়,, এটা আপনার স্কুর্টি নাকি,, মুকেশ আম্বানির রোলস্-রয়েস্ সেটাই বুঝতে পারলাম না।। গোটা এলাকার মানুষ চেনে,, এটা মাষ্টার মশাইয়ের স্কুর্টি।।"
-- "আপনার জিনিস,, আপনার কাছেই রেখে গেলাম।। এটা চুরি করে,, কতো মারাত্মক ভুল করে ফেলেছি,, আপনাকে বোঝাতে পারবো না।।"
-- "এই ভুলের খেসারত বাবদ,, আপনার স্কুর্টিতে ফুলট্যাঙ্ক তেল ভরে দিলাম।।"
চিঠিটা পড়ে সনৎ বাবু হেসে উঠলেন।। বললেন - "ভালো কাজ করলে,, অবশ্যই ভালো প্রতিদান পাওয়া যাবে।।