রেস্পেক্ট গার্লস, হেল্প গার্লস, বি হিরো

আজ যে পোস্টটি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি।
ব্যাপারটা সবার বোঝা উচিত।
মেয়েটি হয়তো অফিস থেকে ফিরছিল... বাসে প্রচণ্ড ভিড় হওয়াতে এক কোণে দাঁড়িয়ে ছিল।
আমি তার ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে। 
মুম্বাই আন্ধেরি থেকে গতকাল চেমবুর মুম্বাই অমার রুমে ফিরছিলাম।
হঠাৎ দেখি মেয়েটি এপাশ ওপাশ করছে, বোঝাই যাচ্ছিল অস্বস্তি বোধ করছে।
খেয়াল করে দেখলাম পাশের লোকটি মাঝে মাঝেই কনুইটা মেয়েটার শরীরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।
ভিড় থাকায় অনিচ্ছায় কিংবা ইচ্ছা করেই করছিল সেটা  নিশ্চিত না হয়ে তো লোকটিকে কিছু বলাও যায় না।
আমি একটু এগিয়ে গিয়ে লোকটা আর মেয়েটির মাঝে গিয়ে দাঁড়ালাম আর মেয়েটির পাশে যথেষ্ট জায়গা রেখে দিলাম যাতে উনি কমফোর্ট বোধ করেন। পরে এক জন লোক নামতে মেয়েটি সিট পেল। 
রাস্তা ঘাটে চলতে গেলে কিছু বিকৃত মস্তিস্কের পারভার্টেড মানুষদের জন্য এরকম বাজে অভিজ্ঞতা প্রায় সব মেয়েরই জীবনে কখনো না কখনো হয়।
মানুষ হিসেবে যৌন অনুভুতি ছেলে মেয়ে দুজনেরই থাকলেও অনুভুতি তৈরি হওয়ার বিষয়টা সম্পুর্ন আলাদা।
মেয়েদের অনুভুতি হয় মানুষ কেন্দ্রিক আর ছেলেদের হয় শরীর কেন্দ্রিক। 
প্রকৃতিগতভাবে আমরা এভাবেই তৈরি।
মেয়েরা যে মানুষকে পছন্দ করে, ভালোবাসে, অনুভব করে, শুধু তার জন্যই তাদের এই অনুভুতি তৈরি হয়।
কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে একটা শরীর হলেই অনুভুতি তৈরি হয়, এই কারণে পতিতালয় বা আবাসিক
হোটেলগুলোতে ছেলেরাই যায়, টাকা দেয়, খানিক সময় মজা নেয়, এরপর ফিরে আসে।
কিংবা মুভিতে বা রাস্তাঘাটে হট আকর্ষণীয় মেয়ে দেখলেও অনুভুতি জাগে, কিংবা রেপ। 
আকর্ষণীয় হতে হয় না, অনেক সময় বোরখা পরা মেয়ে কিংবা কাজের লোকও বাদ যায় না, এমনকি
কিছু কিছু সময় দুই তিন বছরের শিশুরাও। আজ কাল সংবাদে মাঝে মধ্যেই শোনা জায়।
মেয়েদের দেখলে ছেলেদের যৌন অনুভুতি তৈরি হতেই পারে, এটা নরমাল। 
টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকলে হবেই, এটা খারাপ কিছু না কিন্তু একে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সেটা অবশ্যই খারাপ কিছু।
যাকে পেলাম তার সাথে শুয়ে পড়লাম কিংবা ভিড়ের মধ্যে কোন এক মেয়ের সাথে শরীর ঘষার চেষ্টা করলাম, এগুলো অবশ্যই খারাপ, এটা পারভার্শন, তবে এদের সংখ্যা কম, বেশিরভাগ ছেলেই ভাল।
নিজের স্ত্রী বা পতিতা- যার সাথেই শোয়া হোক প্রক্রিয়া, পদ্ধতি একই রকম কিন্তু পার্থক্য একটাই যে
পতিতার ক্ষেত্রে ভালোবাসা থাকে না, বউয়ের ক্ষেত্রে সেটা থাকে এই জন্যই পতিতার সাথে শুলে
সেটা হয় সেক্স, আর স্ত্রীর সাথে সেটা হয় লাভ মেকিং।
একটি সম্পর্ক হোক সেটা শারীরিক বা মানসিক, সেখানে সব সময় থাকা উচিত একে অপরের প্রতি সম্মান, ভালোবাসা ও সত্যিকার অনুভুতি। মানুষ ও পশুর মাঝে এখানেই পার্থক্য।
রাস্তাঘাটে মেয়ে পেলেই নিজের যৌনতা প্রকাশ করার মধ্যে আসলে কোন পুরুষত্ব নেই, প্রকৃত পুরুষ তারাই যারা নারীদের সম্মান করে, তাদেরকে সেফ রাখে, হোক সেই নারী একজন কাজের লোক কিংবা সম্পূর্ণ অচেনা একজন মানুষ।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন