আমার ৩ টে বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল।
বেস্ট ফ্রেন্ড আবার ৩ টে হয় কিকরে ভাবছেন?
বাট আমার ৩ টে, পাগোল ভাবলে ভাবেন বাট আমার তিনটে-ই।
কিন্তু একজন আর নেই, নিজের ইচ্ছাতেই চলে গিয়েছে।
অনেক দূরে। যেখান থেকে আর ফেরা যায়না।
আজকের লেখা তাদের জন্য যারা নিজেকে ব্যর্থ ভাবে, ভাবে সে হেরে গ্যাছে। তাহলে শুরু করি আজকের হার জিতের গল্প।
মেয়েটা বর্ণে কালো হওয়ার কারণে ঐ ছেলেটা তাকে রিজেক্ট করে দেয়।
মেয়েদের বুক ফাঁটে তবু মুখ ফোটে না।
কিন্তু মেয়েটির মুখ ফুটেছিল বলেই হয়তো এই লজ্জার স্বীকার হতে হয়েছে।
মেয়েটা কিছুতেই এই বিষয়টা মানতে পারছিল না।
নিজেকে সামলে রাখতে খুব চেস্টা করত কিন্তু তবুও সারারাত কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাতো।
সব সময় মন খারাপ করে থাকতো।
শেষে মেয়েটা নিজের মধ্যে প্রচুর জেদ তৈরি করলো।
প্রচুর লেখা-পড়া শুরু করল কারণ তাকে যে অনেক বড় হতে হবে।
অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় জেলায় প্রথম হয়ে গেল।
বাবা-মা জোর করে বিদেশ ফেরত এক ছেলের সাথে মেয়েটার বিয়ে ঠিক করে ফেললো।
মেয়েটা যে কালো, আইবুড়ো হয়ে গেলে কেউ এই মেয়েকে বিয়ে করবে না। তাই ,বাবা-মা বিয়েটা ঠিক করলো।
কিন্তু মেয়েটা তার বাবা-মাকে ভয় দেখালো যে , বিয়ে দিলে সে গলায় দঁড়ি দেবে।
মেয়েটা মনে মনে বললো , সে যেদিন নিজের পায়ে দাঁড়াবে ঠিক সেদিন-ই বিয়ে করবে।
যেই কথা সেই কাজ। জীবন যুদ্ধে নেমে গেল।
নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে গেল। ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়িয়ে নিজের লেখা -পড়ার খরচ চালাত।
বাড়ি থেকে টাকা চাইতো না।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় বোর্ড স্ট্যান্ড করলো অঁজপাড়া গাঁয়ের একটা স্কুল থেকে।
এরপর মফস্বলের হাই স্কুল থেকে এইচ এস তেও বোর্ড স্ট্যান্ড।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশুনা শেষ করে ঐ কালো মেয়েটা এখন হাইকোর্টের জর্জ।
মেয়েটার ক'দিন আগেই বিয়ে হয়েছে। ছেলে একজন ডিসি।
যে ছেলেটা ঐ মেয়ের প্রোপোজ ফিরিয়ে দিয়েছিল সে এখন গার্মেন্টস-এ চাকরী করে।
আসলে , যারা মানুষকে ফিরিয়ে দেয় তারা কখনো বড় হতে পারে না।
যারা আঘাত পেয়ে ফিরে যায় তারাই যুগে যুগে বড় হয়।
জীবনে জেদ থাকলে অনেক উঁচুতে ওঠা যায়।
সবাই তো সুন্দরীদের পেছনেই ছোটে। সাদা- কালো আপেক্ষিক।
নিজের ভেতর প্রচুর জেদ তৈরি করুন।
যেখানে হোচট খাবেন , সেখান থেকেই উঠে দাঁড়ান। জীবনে ঝড় আসবেই। ব্যর্থতা থাকবেই।
জীবনে সবচেয়ে ভালো জায়গায় যেতে চাইলে জেদ করতে শিখুন।
আপনাকে ছাড়িয়ে যান। আপনার সাফল্য নিশ্চিত।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন