একটি রাত তিনটি জীবন - ১

সুনীল গঙ্গপাধ্য্যায়

হাসপাতালে সারাক্ষণ এত কাজ যে সোমনাথ অন্য কোনো দিকে মন দিতেই পারে না। এক সময় তার খেয়ার হয়, সারাদিনে সে একবারও হাসেনি। রোগীদের সঙ্গে সর্বক্ষণ শুধু জবীলা-যন্ত্রণা আর দুঃখ-কষ্ট নিয়েই কথা হয়, তার মধ্যে হাসির খোরাক থাকে না। অথচ গোমড়ামুখো হয়ে কি মানুষ বাচতে পারে?

হাসপাতাল থেকে বেরুবার আগে সোমনাথ বুঝতেই পারেনি যে অনেক্ষণ বৃষ্টি নেমে গেছে। বৃষ্টি খুব জোর নয়,

কিন্তু আকাশ কালো। বিকেলের পর আর সন্ধ্যা বোঝা যাবে না, এর মধ্যেই রাত্রি নেমে এসেছে। বিরাট বজ্র
গর্জন হচ্ছে না, কিন্তু গ-র-র-গ-র শব্দ হচ্ছে মাঝে মাঝে । এরকম বৃষ্টি অনেক্ষণ চলে । সোমনাথ এখন ঘরে
ফেরার জন্য ব্যস্ত ।

হাসপাতালের বাইরে গোটা তিনেক সাইকেল রিকশা দীড়িয়ে। সোমনাথ ছুটে গিয়ে উঠে পড়লো একটাতে।
চালকটি গাড়ি বারান্দার নিচে বসেছিল, সেও চলে এলো। অন্য যাত্রী হলে এই বৃষ্টির মধ্যে সে হয়তো যেতে
রাজি হতো না, কিন্তু ডাক্তার বাবুদের কথা আলাদা ।

চালকটির বয়স একুশ-বাইশের বেশি না, লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরা একটা রোগা ছেলে । সে প্যাডেলে পা দেবার পর
সোমনাথ জিজ্ঞেস করলো, কীরে, যেতে পারবি তো?

ছেলেটি বললো, হ্যা স্যার । আমিও তাড়াতাড়ি বাড়ি যাবো ।

কোথায় যেতে হবে, তা আর বলার দরকার হলো না।

সোমনাথ অন্যমনস্ক হয়ে পড়লো । মফঃম্বল শহরের রাস্তা একটু বৃষ্টিতেই ফীকা হয়ে যায়। সোমনাথ রাস্তা
দেখছে না, বৃষ্টি দেখছে না। তার মেজাজ তেমন ভালো নেই।

হঠাৎ একটা জোর ঝাঁকুনিতে সোমনাথ প্রায় পড়েই যাচ্ছিল ছিটকে । কোনো রকমে সামলে নিল শেষ মুহূর্তে ।
তাকিয়ে দেখলো, রাস্তার পাশে একটা থেমে-থাকা ট্রাকের পেছনে সাইকেল রিকশাটা ধাক্কা মেরেছে।



রাস্তায় আলো কম, তা ঠিক। সাইকেল রিকশাতেও কোনো আলো থাকে না। সোমনাথদের ছেলেবেলায় গরুর
গাড়ির তলাতেও একটা লন্টন ঝুলতো। এখন সেসব পাট উঠে গেছে। থেমে থাকা ট্রাকটার পেছনেও আলো
নেই। এই সব জায়গায় সবাই কম আলোতে অভ্যন্ত। সব বুঝে-শুনেই তো রিকশা চালানো উচিত।
সোমনাথ জিজ্ঞেস করলো, কী হলো রে?

ধাক্কা দেবার পরও ছেলেটি চুপ করে বসে আছে। কোনো রকম সাড়াশব্দ করছে না।

সোমনাথ আবার জিজ্ঞেস করলো, কীরে, ঘুমিয়ে পড়েছিলি নাকি?

ছেলেটি ভাঙা গলায় বললো, না স্যার । দেখতে পাইনি ।

আবার সে প্যাডেলে চাপ দিল । চালাতে লাগলো আস্তে আস্তে । কোনো একটা জায়গায় ক্যাচ ক্যাচ শব্দ হচ্ছে।
বৃষ্টির ছাট লাগছে সোমনাথের গায়ে। রিকশার ওপরে ফুটো আছে কয়েকটা ।

একটু বাদে ছেলেটি বললো, স্যার, একটা কথা বলবো? আমাকে আজ পঞ্চাশটা টাকা দেবেন?

সোমনাথ অন্যমস্তকভাবে বললো, কেন?

ছেলেটি বললো, স্যার, আজ সারাদিন কিছুই রোজগার হয়নি। বাড়ির জন্যে চাল কিনে নিয়ে যেতে হবে।
আপনি দশ দিন ভাড়া দেবেন না, আপনাকে আমি নিয়ে যাবো ।

এ কথা শুনে সোমনাথের রাগ হবার কথা । মন দিয়ে রিকশাটা পর্যন্ত চালায় না। অকারণে একটা ধাক্কা
খাওয়ালো । রিকশাটা নোংরা, ফুটো । চড়ে কোনো আরাম নেই। তবু দিব্যি আ্যাডভ্যান্স চায়। বৃষ্টি বাদলা না
থাকলে সোমনাথ রিকশা নিতেও চায় না। হেঁটেই নিজের জায়গায় ফেরে।

কিন্তু বাড়ির জন্য চাল কিনে নিয়ে যাবে, এ কথাটা শুনলে কেমন যেন লাগে। অন্য কিছু নয়, চাল। বেঁচে থাকার
ন্যুনতম উপাদান। মাত্র পঞ্ঝাশটা টাকা দিলে যদি কয়েকজন খেতে পায় তো পাক।

সোমনাথ আর একটা কথাও বললো না।

আজ তার কলকাতায় ফেরার খুব দরকার ছিল। কিন্তু কাল সেকেন্ড ইয়ার- থার্ড ইয়ারের জয়েন্ট ক্লাস আছে।
সেই ক্লাসটা না নিলে গোলমাল হতে পারে । অথচ কলকাতা আজ খুব মন টানছে।

মস্ত বড় কম্পাউন্ডের সামনে গেট। ভেতরে বাড়িটা তিনতলা, সামনে ঢাকা গাড়িবারান্দা। সাইকেল রিকশাটা
সেই বারান্দার নিচে থামলো।

নেমে পকেট থেকে পার্স বার করে সোমনাথ দেখলো, একটাকা দুণ্টাকার নোট দু'একখানা বাকি কয়েকটা
একশো টাকার নোট । পঞ্চাশ টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। একশো টাকার নোট দিলে পুরোটাই যাবে ।

ওপর থেকে টাকাটা এনে দিতে হবে । সোমনাথ থাকে তিনতলায়। আবার নামা-ওঠা, সোমনাথের ইচ্ছে করলো
না। সে বললো, এই, তুই ওপরে আয়, তোর টাকা দিচ্ছি।

ওপরে গিয়ে সোমনাথ সব কণ্টা আলো জ্বাললো। আলমারির তালাটা খুলতে যাবে, এই সময় বাজ পড়লো
বিকট শব্দে বৃষ্টির তোড়ও বেড়ে গেল হঠাৎ।

টেবিলের ড্রয়ারে সব সময়ই কিছু টাকা-পয়সা থাকে । তার থেকে একটা পঞ্চাশ টাকার নোট নিয়ে বাইরে এসে
সোমনাথ যেন ভূত দেখলো।

গেঞ্জি ও লুঙ্গি পরা রিকশা চালকটি দীড়িয়ে আছে সিঁড়ির ওপরের ধাপে। মাথার ওপরে একটা আলো জুলছে।
এই প্রথম ছেলেটির মুখ ভালো করে দেখতে পেল সোমনাথ । তার চোখ দুটো কোটরে ঢোকা, অথচ তাতে
জুলজুলে ভাব, মাথার চুল ভিজে কিন্তু কপালের চামড়া শুকনো । ছেলেটি একটু একটু দুলছে।

ভয় পাবার মতনই চেহারা ।

সোমনাথ সোজা এগিয়ে এসে ছেলেটির কপালে হাত রাখলো । যেন ছ্যাকা লাগলো তার হাতে ।

ছেলেটির অন্তত একশো চার জুর। সোমনাথ ওর চোখের তলা টেনে দেখলো। সেই সময় সে দু'বার
শুকনোভাবে কাশলো ।

ছেলেটি যে টিবিতে ভুগছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বেশ আ্যাডভান্সড স্টেজ।

সোমনাথ রীতিমতন রাগের সুরে বললো, তোর গায়ে এত জ্বর, তবু তুই রিকশা চালাচ্ছিস?
ছেলেটি চুপ করে রইলো।

_নাম কী তোর?

-আলতাফ মন্ডল ।

_থাকিস কত দূরে?

-বলরামপুর স্যার, সাড়ে ছ' মাইল হবে এখান থেকে ।

-রোজ জবর আসে?

_হ্যা স্যার ।

বাড়িতে আর কে আছে?

-ছোট তিনটি ভাই-বোন, মা, এক চাচা, বাবা নেই।

-আর কেউ রোজগার করে না?

_মা এক বাড়িতে রান্না করে।

সোমনাথ এতক্ষণ ছেলেটির মুখের দিকে চেয়ে রইলো। তারপর আস্তে আস্তে বললো, তুই যদি এরকম জবর
নিয়ে রিকশা চালাস, তাহলে তোর রোজগারে আর তোর বাড়ির লোকেদের বেশিদিন খেতে হবে না । তুই যদি
বাচতে চাস, তোকে আমি কাল হাসপাতালে ভর্তি করে দিতে পারি।

ছেলেটি মাথা নিচু করে থেকে জিজ্ঞেস করলো, টাকাটা দেবেন স্যার?

সোমনাথ বললো, তা নয় দেবো । কিন্তু তুই এই বৃষ্টি মাথায় করে সাড়ে ছ'মাইল রিকশা চালিয়ে যাবি?
-আমায় যেতেই হবে স্যার ।

সোমনাথ পঞ্াশ টাকার নোটিটি ওর হাতে দিয়ে দিল। ছেলেটি কপালের কাছে হাত এনে নমস্কার জানিয়ে
পেছন ফিরতেই সোমনাথ আবার বললো, দীড়া।

সোমনাথের কপালটা কুঁচকে গেছে।

ডাক্তার হিসেবে এরকম দারুণ একটা অসুস্থ রোগীকে বৃষ্টির মধ্যে ছেড়ে দিতে তার বিবেক কিছুতেই সায় দিচ্ছে
না। এই অবস্থায় রিকশা চালানো মানে ছেলেটিকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেয়া। কিন্তু এ গরীব । ওর
রোজগারে আরও চার-পাঁচটা প্রাণীর খিদে মেটে । সে সব চিন্তা করা ডাক্তারের দায়িত্‌ নয়। ডাক্তারদের রোগের
চিকিৎসা করতেই শেখানো হয়, সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের ভারতো তাদের ওপর কেউ দেয়নি।

সোমনাথ চিৎকার করে ডাকলো, রাম, রাম।

ছাদের ঘর থেকে তাদের কাজের ছেলেটি সাড়া দিল।

সে নিচে আসবার পর সোমনাথ জিজ্ঞেস করলো, ভাত রান্না করেছিস?

রাম বললো, অন্য সব রান্না হয়ে গেছে। ভাতটা এখনো চাপাইনি। আপনি যখন খাবেন, গরম গরম...
সোমনাথ বললো, বেশি করে ভাত চাপা। এই ছেলেটাকে খেতে দে। তোর থালা বাটিতে দিস না। শালপাতা
জোগাড় কর।

তারপর বলাইয়ের দিকে তাকিয়ে ধমকের সুরে বললো, এখন তোর বাড়ি ফেরা হবে না। রাম খাবার দেবে,
খেয়ে-দেয়ে একতলায় শুয়ে যাস্‌। ওখানে মস্ত বড় বারান্দা ফীকা পড়ে আছে। কাল সকালে তোকে ভালো করে
দেখতে হবে । রামের হাতে ওষুধ পাঠিয়ে দিচ্ছি, রাত্তিরে খাবি।

আলতাফ সব শোনার পর বললো, আমি না গেলে যে বাড়ির লোক চিন্তা করবে । আমাকে ফিরে যেতেই হবে,
স্যার ।

সোমনাথ বললো, তুই মরতে চাস? তাহলে ফিরে যা। আর যদি বাচার ইচ্ছে থাকে, তাহলে আমি যা বললাম
তাই শুনতে হবে। এখন যা ভালো বুঝিস, তাই কর।

সোমনাথ ঢুকে গেল নিজের ঘরে ।

এই বৃষ্টি-বাদলার মধ্যে আজ আর ক্লাবে যাওয়া হবে না । বাকি সন্ধ্যেটা তাকে ঘরেই বসে কাটাতে হবে একা-
একা।

এই সন্ধ্যেগুলোই অসহ্য লাগে।

সপ্তাহে তিনটি দিন সোমনাথকে বীকুড়ায় কাটাতে হয়। সরকারের নতুন নীতি, কলকাতায় হাসপাতালের বড়
বড় ডাক্তার-অধ্যাপক মফঃস্বলের মেডিক্যাল কলেজে অন্তত দু'বছর পড়াতে হবে।

সোমনাথ এই ট্রান্সফারে আপত্তি করেনি । সপ্তাহে তিনদিন এখানে ক্লাস নিলেই চলে যায়। 

বাকি দিনগুলো সে কলকাতাতেই থাকে। ট্রেনে দুর্গাপুর পর্যন্ত এসে ট্যাক্সি নিয়ে চলে আসে বীকুড়া শহরে । ভালো করে সে
কখনো গ্রাম দেখেনি । পশ্চিমবাংলার গ্রাম চেনার তার শখও ছিল।

সত্র-ছেলেমেয়েদের এখানে আনেনি, তারা কলকাতাতেই থাকে । এখানে দু'জন ডাক্তার মিলে এই বাড়িটা ভাড়া
নিয়েছে। বিনায়ক অবশ্য স্ত্রীকে নিয়েই এসেছে, তার ছেলেটি ছোট, এখনো স্কুলে যাওয়ার প্রশ্ন নেই । ওরা থাকে
দোতলায় । তিনতলাতে দু'তিনটি ঘর খালি পড়ে আছে।

কলকাতায় আজ শান্তার গান আছে রবীন্দ্র সদনে । সোমনাথের উপস্থিত থাকার খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আজ
ফেরার কোনো উপায় নেই।

এই সময় প্রত্যেকদিন সোমনাথের স্নান করা অভ্যেস। স্নান করে সে পাজামা ও পাঞ্জাবি পরে নিল। এখনও
বৃষ্টি পড়ে চলেছে। সোমনাথ চিরকালই দেরি করে ঘৃমোয়, রাত সাড়ে বারোটা-একটার আগে বিছানায় যেতেই
তার ইচ্ছে করে না। কলকাতায় থাকলে কীভাবে যেন হুশ করে সময় চলে যায়, এখানে সময় কাটতেই চায়
না। এখন মাত্র আটটা বাজে।

সোমনাথ একটা গেলাসে খানিকটা হুইস্কি ঢেলে জল মিশিয়ে নিল । কলকাতায় সে মাসে একবার-দু'বার কোনো
পার্টিতে গিয়ে সামান্য মদ্য পান করে, তার নেশা নেই। কিন্তু এখানে বই পড়ার সময় একট্র-একটু গেলাসে
চুমুক দিতে তার ভালো লাগে। এখানে লোকেরা সন্ধ্যের পর এতখানি সময় কীভাবে কাটায়?

“মিলন-চত্র" নামে একটা ক্লাবে মাঝে মাঝে যায় সোমনাথ । কিন্তু সেখানেও আড্ডা ভেঙে যায় দশটার মধ্যে ।
রাম একটা হট বক্সে খাবার রেখে যায় তার জন্য । তার বাড়ি কাছেই, সে রান্তিরে এখানে থাকে না। রামের
কাছে খবর পাওয়া গেল, আলতাফকে ভাত দেওয়া হয়েছিল, সে কয়েক গেরাসের বেশি খেতে পারেনি । জ্বরে
ধুঁকছে । রিকশা চালিয়ে ফেরার ক্ষমতাই তার নেই।

ও ছেলেটাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে ওর বাড়ির লোকদের খাওয়াবে কে? তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, ও যদি মারা
যায়, তখনই বা ওর বাড়ির লোকদের কী হবে? ডাক্তারের কি এই নিয়ে মাথাব্যথা করা উচিত?

রাম চলে গেছে অনেকক্ষণ । সারা বাড়ি নিস্তব্ধ । ইজি চেয়ারে বসে একখানা বই পড়ে যাচ্ছে সোমনাথ । সবেমাত্র
এগারটা বেড়েছে।

ঘুমোবার আগে দরজা বন্ধ করে সোমনাথ । এখন দরজাটা খোলা । একটা শব্দ হতে সে পেছন ফিরে তাকালো ।
একটা নীল রঙের রাত-পোশাক পরা, সারা মুখে ক্রিম মাখা, চুলে চিরুনি চালাচ্ছে এক হাতে, দরজার কাছে
এসে দীড়িয়েছে বাসবী।

সোমনাথ জিজ্ঞেস করলো, কী, বিনায়ক ফেরেনি?

বিনায়ক এখানে একটা চেম্বার খুলেছে। এর মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় । বাড়ি ফিরতে রাত দশটা-সাড়ে দশটা হয়ে
যায়।

বাসবী বললো, আজ ফিরবে না। পুরুলিয়ায় অপারেশন করতে গেছে। একজনের পেটে গুলী লেগেছে।
সোমনাথ একটু হাসলো । বিনায়ককে টাকার নেশায় পেয়ে বসেছে । এখন আর কোন চিন্তা করে না। কলকাতার
চেয়ে এখানে তার উপার্জন অনেক বেশি। পেট থেকে গুলী বার করার মতন আর কোনো ডাক্তার বুঝি
পুরুলিয়ায় নেই?

বাসবী বললো, আমার ভয়-ভয় করছে। নিচে কিসের যেন শব্দ হচ্ছে। কে যেন কাশছে।

এক তলায় সার্ভে ডিপার্টমেন্টের অফিস । সন্ধ্যের পর কেউ থাকে না।

বাসবীর ভূতের ভয় আছে। বিনায়ক তা জানে । একটি তিন বছরের শিশু সমেত স্ত্রীকে রেখে সে সারা রাত
বাড়ির বাইরে কাটাবে?

সোমনাথ বললো, ভয়ের কিছু নেই । ভূতদের কাশির অসুখ থাকে না। একতলায় আজ একটা ছেলে শুয়ে আছে।
বাসবী চমকে উঠে বললো, একতলায় কেউ শুয়ে আছে? কেন?

সোমনাথ বললো, সে গল্প তোমার শুনতে ভালো লাগবে না এখন। সে ছেলেটি অসুস্থ।

বাসবী বললো, যদি রাত্তিরে ওপরে উঠে আসে? তুমি বাড়িতে রোগী নিয়ে এসেছো কেন? বাড়িটাকেও
হাসপাতাল বানাতে চাও?

সোমনাথ বললো, সে ওপরে আসবে না। তুমি দরজা দিয়ে শুয়ো। ছেলে ঘুমিয়ে পড়েছে? 

প্রথম পার্টে এই পর্যন্ত
বাকিটা দিতিও পার্টে পড়ুন।


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন